পটুয়াখালী জেলার রাঙাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন এর চর আন্ডা গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ গৃহ
বধূ মোসাম্মাত শেফালী বেগম (৫৭) নামের গক নারীকে তার পাষন্ড স্বামী ঐ ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ও ইউঃআওয়ামী লূগের সভাপতি মো, মহিউদ্দিন বাচ্চু(৬০) কতৃক অমানবিক নির্যাতনসহ মারধর ও মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ এবং আদালতের মামলা সুএে জানা যায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামী মহিউদ্দিন
বাচ্চু পটুয়াখালী পৌরসভার ৪নংওয়ার্ডের সবুজ বাগ এলাকার মৃত ইসমাইল মিয়ার পুএ এবং তিনি সবুজ বাগ(৪নংওয়ার্ডের) সাবেক কমিশনার ছিলেন।
সেই সুবাদে গৃহবধূ শেফালী পটুয়াখালীর গরুর বাধ এলাকার বাড়ীতে আসা-যাওয়া করতো এবং তাকে প্রলোভন দেখিয়ে তার পুর্বের স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার ব্যবস্হা করে ২৫ বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে করলেও তাদের কোন কাবিন নামা কিংবা রেজিষ্ট্রিকৃত করে বিবাহ সম্পূর্ণ হয়নি।
তার সাথে প্রতারনার আশ্রয় নেয় এবং গৃহবধূ শেফালী বেগম এর শহরের বাড়ী বিক্রির টাকা ছাড়া সঞ্চিত ৩ লক্ষ টাকা ও ৪ভড়ি স্বর্ন হাতিয়ে নেয় এই মহিউদ্দিন বাচ্চু। তাদের সংসার রক্ষা করার জন্য পাষন্ড স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে আসছে বছরের পর বছর।
এদিকে গৃহবধু শেফালী বেগমের গর্ভে কোন সন্তান না হওয়ার অজুহাতে এক এক করে তিনটি বিয়ে করে এবং রাঙাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়ন এর চর আন্ডা গ্রামে স্হায়ী ভাবে বসবাস করেন। নির্যাতিতা গৃহবধূ শেফালি বেগম সাংবাদিকদের বলেন আমাকে ঠিকমত ভরণপোষণ না দিয়ে চর আন্ডা গ্রামে আমার জমি দখল করে মাছের ঘের করেছে এবং সংসার করতে হলে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে।
আমি না দিতে পারায় প্রতিদিন আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে ,আমি এলাকার গন্য
মান্য ব্যাক্তি এবং চেয়ারম্যান, মেম্বারদের নির্যাতনের বিষয় একাধিক বার জানালেও আমার স্বামী মহিউদ্দিন বাচ্চু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় কেউ কথা বলতে সাহস করে না।
আমার স্বামী গোপনে কিছু ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিলে আমি মানষিক ভাবে ভেঙে পড়ি
গত ৩/৭/২৪ তারিখ আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমার স্বামীর সাথে আপোষ মিমাংসা
করার প্রস্তাব দিলে সে যৌতুকের ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে
আমার স্বামী এবং আমার সতীন মোসাম্মাত রেশমা বেগম(২৮) আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য পুর্ব
পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে।
এসময় প্রতিবেশীরা আমাকে গুরতর আহত অবস্থায় গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩/৭/২৪ রাতে ভর্তি হই আমি।
এবং ৭/৭/২৪ তারিখ হাসপাতাল থেকে ছাড়পএ পেয়ে সুষ্ঠু বিচার এর আশায় আমার স্বামীর বিরুদ্ধে রাঙাবালী থানায় মামলা করতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা না নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলার পরামর্শ দেন। এবং আমি সুষ্ঠু বিচারের আশায় পটুয়াখালী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ৯/৭/২৪ তারিখে আমার স্বামী মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করেছি।
পিটিশন নং৪০১/২৪ ইং। এ ব্যাপারে নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী চর আন্ডা গ্রামের আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন বাচ্চুর মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি বলেন,শেফালী বেগম আমার এক সময় স্ত্রী ছিলো।আমি শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে করেছিলাম এবং শরীয়া মোতাবেক তাকে অনেক বছর আগে তালাক দিয়ে দিয়েছি।সে এখন আমার স্ত্রী নয় কেবল মাত্র প্রতিবেশী। আদালতে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন শেখালী বেগমের জমি জবর দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাকে পরিকল্পিত ভাবে সমাজে হেও পতিপন্ন করার জন্য এসব পায়তারা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।